Pars Today

পরিবার একটি জীবন্ত সত্ত্বার মত। যদি এটি বাইরের উৎপীড়ন ও হুমকি থেকে নিরাপদ থাকে এবং বাইরের নানা প্রভাবক পরিবারের শৈর্য্য-বীর্য ও কার্যকারিতাকে নড়বড়ে করার চেষ্টা না চালায় তাহলে পরিবার পুনর্গঠন করাও কঠিন কোনো কাজ নয়।

পারস্পরিক ভালোবাসা পরিবারের ভিত্তি এবং এর স্থিতি, স্থায়িত্ব, সংরক্ষণ ও ক্রমবিকাশেরও মাধ্যম তথা পরিবারের প্রাণ।

বিয়ে করে পরিবার গড়ার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখা জরুরি। স্বামী ও স্ত্রী যদি পরস্পরের প্রতি আস্থাশীল ও বিশ্বাসী না হন তাহলে তাদের সংসার বেশি দিন টিকবে না।

মানব-কল্যাণের নানা দিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যারা সমাজে হয়েছেন খ্যাতিমান তাদের এইসব সাফল্যের পেছনে রয়েছে বিশ্বাসী ও যোগ্য মা-বাবার তথা পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

আজকের আলোচনা শুরু করব মহানবীর (সা) পবিত্র আহলে বাইতের সদস্য ইমাম সাদিক্ব (আ)'র একটি বাণী দিয়ে। তিনি বলেছেন: সংসারে স্বামীকে তার পরিবারের ব্যাপারে তিনটি বিষয় মেনে চলতে হবে যদি ওই তিনটি বিষয় বা গুণ তার স্বভাব বা প্রকৃতির মধ্যে নাও থাকে।

ইসলামী ও ইরানি পরিবার বিষয়ক ধারাবাহিক আলোচনা অনুষ্ঠান সুখের নীড় থেকে আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

গত পর্বের আলোচনায় আমরা বলেছিলাম, মহান আল্লাহ মানুষসহ বিশ্বের প্রায় সব কিছুই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ প্রায় সব জীবেরই রয়েছে স্ত্রী ও পুরুষ-শ্রেণী। এমনকি শক্তি, সময় ও বস্তু-জগতেও রয়েছে জোড়ার অস্তিত্ব।

মহান আল্লাহ বিশ্বের প্রায় সব কিছুই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। প্রায় সব জীবেরই রয়েছে স্ত্রী ও পুরুষ-শ্রেণী। এমনকি শক্তি, সময় ও বস্তু-জগতেও রয়েছে জোড়ার অস্তিত্ব। যেমন, ধনাত্মক ও ঋণাত্মক বিদ্যুত, রাত ও দিন, আকাশ ও জমিন ইত্যাদি।

পরিবার ব্যবস্থা মহান আল্লাহর অন্যতম সেরা উপহার। একটি সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠে সুন্দর ও সুসভ্য পরিবারের অস্তিত্ব থেকে।

বিয়ের প্রাক্কালে বা বিয়ের জন্য বাগদত্তা ও বাগদত্ত পাত্রী ও পাত্রদের অনেকেই বিয়ে-পরবর্তী জীবনের পরিস্থিতিকে দাম্পত্য-পূর্ববর্তী জীবনের বন্ধুত্বের মতই স্বপ্নময় ও মধুর বলে মনে করেন।