ভোট চুরি করলে জনগণ ছাড় দেয় না: প্রধানমন্ত্রী
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১২ জানুয়ারি বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:
- দুর্ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না: প্রধানমন্ত্রী-প্রথম আলো
- ভোট চুরি করলে জনগণ ছাড় দেয় না: প্রধানমন্ত্রী -মানবজমিন
- ভয়ংকর মাদক আইসের বিস্তার হচ্ছে দ্রুত-ইত্তেফাক
- ভয়ংকর অপরাধে ভাড়া খাটে কিশোর গ্যাং-যুগান্তর
- রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত প্রবাসীদের পাসপোর্ট বাতিলের উদ্যোগ -কালের কণ্ঠ
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- দেশে একদিনে করোনার কবলে ১ লক্ষ ৯৪ হাজার, ভয় ধরাচ্ছে অ্যাকটিভ কেস-সংবাদ প্রতিদিন
- তাঁকে ‘ভয়’ পাচ্ছে সরকার, সাগরমেলা কমিটি নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর, পাল্টা ববি-আনন্দবাজার পত্রিকা
- বুস্টার ডোজে কাজ হবে না, কোভিড ঠেকাতে চাই নতুন টিকা! দাবি করল WHO -আজকাল
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ভোট চুরি করলে জনগণ ছাড় দেয় না: প্রধানমন্ত্রী-মানবজমিন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরি করলে জনগণ তাদের ছেড়ে দেয় না। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে অতীতে যারা ছিনিমিনি খেলেছে, তারা তাদের শাস্তি হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্ষমতা থেকে হটিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থেকে সভাপতিত্ব করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষের জন্য যে মানুষটার বুকভরা ভালোবাসা ছিল, যে মানুষগুলো আমাদের ঘরে বসে খেয়ে পরে গেলো, তারা কীভাবে ওই বুকে গুলি চালায়? বাংলাদেশের মাটি অনেক উর্বর। এখানে যেমন অনেক ভালো মানুষ জন্মে, তেমনি পরগাছাও জন্ম নেয়। তেমন বেইমান পরগাছাও এ দেশে ছিল।
এদিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদেরকে ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার পদত্যাগের কথা স্মরণ করাতে চাই।’ ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন যারা করে তাদেরকে আমরা জিজ্ঞাসা করি, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া কেমন ইলেকশন করেছিল? আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তারা ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভুলে যান কী করে? কয় পার্সেন্ট ভোট পড়েছিল? চার শতাংশ ভোটও পড়েনি। সব জায়গায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভোটের বাক্স সিল দিয়ে ভরে খালেদা জিয়া নাকি তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভোট চুরি করেছিল বলে কী হয়েছিল তার পরিণতি! তাদের তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী তো তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। পদত্যাগে বাধ্য হয় গণআন্দোলনে। ভোট চুরির অপরাধে নাকে খত দিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।
নির্বাচনি সংহিসংতা,কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্নভাবে প্রতিদিন হত্যার ঘটনা পত্রপত্রিকার পাতায় বিশেষ স্থান দখল করে নিচ্ছে। আজকের যুগান্তরসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকের খবরে লেখা হয়েছে,নাটোরে বাস, ট্রাক ও পিকআপভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের তোকিয়া এলাকার পেট্রলপাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না: প্রধানমন্ত্রী-প্রথম আলো
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা। কাজেই কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। দোষ কার, সেটা পরে দেখা যাবে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে চালককে মারা উচিত নয়। আজ বুধবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
যুগান্তরের অন্য এক খবরে কিশোর গ্যাং সম্পর্কে ভয়ংকর প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, রাজধানীসহ দেশে কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা ক্রমশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। তল্লাশি ও গ্রেফতার অভিযানসহ নিরাপত্তা বাহিনীর নানা পদক্ষেপেও কিশোর গ্যাং কালচার দমানো যাচ্ছে না। গ্যাংয়ে জড়িত কিশোররা দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে। আগে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মারামারিসহ নানা ছোটখাটো অপরাধে জড়িয়ে পড়ত। কিন্তু ভাড়াটে হিসাবে তারা এখন মানুষ হত্যার মতো অপরাধে যুক্ত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এমন তথ্য রয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর মিরপুরে টপটেন পোশাক কারখানার কর্মচারী শাহাদাত হোসেন হাসিবকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হৃদয় জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে হাসিবকে খুন করতে তার (হাসিব) এক চাচাতো ভাই তাদের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি করেছিলেন। শুধু এই একটি দুটি ঘটনা নয় দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়ংকর অপরাধে ভাড়ায় খাটছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গ্যাংয়ের পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী ও পেশাদার সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতাকেও দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন জরুরি। পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে এখনই কিশোর অপরাধের লাগাম টানতে হবে। তা না হলে দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সমাজ ও পরিবারের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া কিশোর গ্যাং কালচার কোনোভাবেই নির্মূল করা সম্ভব নয়।
সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ বলেন,সংশোধনাগার থেকে আরও ভয়ংকর হয়ে বের হয় - পরিস্থিতি যে ভয়াবহ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সবার সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। পরিবার, সমাজসহ সবাই মিলে কাজ করলে কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম যুগান্তরকে বলেন, গ্যাংয়ে জড়িত কিশোররা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হয়। তাদের কেউ কেউ বড় ভাইদের নির্দেশনা পালন করে। আধিপত্য বিস্তার, মারামারি, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা তো আছেই। মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী কমিটির মহাসচিব নূর খান লিটন যুগান্তরকে বলেন, কিশোর গ্যাং কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়-সে সম্পর্কে নিয়ন্ত্রণকারীদের মূলত কোনো ধারণা নেই।
আর ইত্তেফকের এক খবরে লেখা হয়েছে, ভয়ংকর মাদক আইসের বিস্তার হচ্ছে দ্রুত। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, দেশে বানের মতো ঢুকছে ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ (আইস)। এক গ্রাম ক্রিস্টাল মেথের দাম ৫ হাজার টাকা। মাদকাসক্ত তরুণ সমাজের কাছে ইয়াবার চেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এটি।
ইয়াবা তৈরির প্রধান উপাদান এমমেটাফিন। ক্রিস্টাল মেথ তৈরির প্রধান উপাদান হলো মেথাএমমেটাফিন। ইয়াবার চেয়ে কয়েকগুণ কার্যকরী মাদকাসক্তের শক্তি দিয়ে তৈরি এই ক্রিস্টাল মেথ। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে এই মাদকের চালান আসছে। অনেক ক্ষেত্রে এই চালান বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বিকল্প রুটে প্রবেশ করছে। আন্তর্জাতিক মাদক কারবারি সিন্ডিকেট বাংলাদেশকে ক্রিস্টাল মেথ পাচারে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। তাছাড়া টেকনাফে বিপুল পরিমাণে আইস ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
ফেসবুক, ইউটিউবে অপপ্রচার রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত প্রবাসীদের পাসপোর্ট বাতিলের উদ্যোগ-কালের কণ্ঠ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তাদের সবার পাসপোর্ট বাতিল করা হবে। আজ বুধবার আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
‘চিন বিরোধী’ অবস্থানই চাবিকাঠি? টানাপোড়েন কাটিয়ে ফের কাছাকাছি ভারত-কানাডা-সংবাদ প্রতিদিন
কানাডার (Canada) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে গত কয়েক বছরে, সেই স্থিতাবস্থা এবার কাটতে চলেছে। তেমনই ইঙ্গিত দিলেন কানাডার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানালেন, নতুন করে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই। শিগগিরি সুরক্ষা ও বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মনে করা হচ্ছে ‘চিন বিরোধী’ অবস্থানই হয়তো দুই দেশের নৈকট্যকে বাড়াতে সাহায্য করবে।
বুস্টার ডোজে কাজ হবে না, কোভিড ঠেকাতে চাই নতুন টিকা! দাবি করল WHO-আজকাল
করোনা ভাইরাসের একের পর এক প্রজাতি তৈরি হচ্ছে। আর তার জেরে আসছে নতুন নতুন সংক্রমণের ঢেউ। বিভিন্ন দেশে এর মধ্যেই টিকার দু’টি ডোজের পরেও বুস্টার ডোজ দেওয়া চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু মনে করছে, এতে কাজ হবে না। টিকার বুস্টার ডোজ কোভিড সক্রিয়ভাবে ঠেকাতে পারবে না। বরং নতুন টিকা তৈরি করতে হবে। তাতেই রোখা যাবে করোনা ভাইরাস।
কোন টিকা কোভিডের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর, এসব পরখ করে দেখার জন্য একটি কমিটি তৈরি করেছে হু। তাদের এই টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ (TAG-CO-VAC) বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘ওই পুরনো টিকার একের পর এক ডোজ (বুস্টার) দিয়ে কোনও লাভ হবে না।’ নতুন কম্পোজিশন বা উপাদানে তৈরি নতুন টিকাই ঠেকাবে কোভিড। গোটা দুনিয়ায় এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। হু–র বিশেষজ্ঞ কমিটি বলছে, এই ওমিক্রন দ্বারা যাঁরা সংক্রামিত হচ্ছেন, তাঁদের উপসর্গ ততটাও সক্রিয়ভাবে ঠেকাতে পারবে না টিকা। তবে টিকা নেওয়া জরুরি। তাতে সংক্রমণের ফলে যে বাড়াবাড়ি হচ্ছিল, তা ঠেকানো যাবে। দেশে একদিনে করোনার কবলে ১ লক্ষ ৯৪ হাজার, ভয় ধরাচ্ছে অ্যাকটিভ কেসের খবরটি পরিবেশিত হয়েছে-সংবাদ প্রতিদিনে।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১২